বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত এক ব্যবসায়ী এবং উপসর্গ নিয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপসর্গ নিয়ে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাঈম (১৪) নামে এক কিশোর।
নাঈম কাহালু উপজেলার পালপাড়া এলাকার মৃত আকতার হোসেনের ছেলে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শ্বাসকষ্টসহ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে তার মৃত্যু হয়।
টিএমএসএস হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম ইলিয়াস মিঞা (৫৫)। তিনি বগুড়া শহরতলির ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা।
আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুজন হলেন বগুড়ার কাহালু উপজেলার এক যুবক (৩৬) ও শিবগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তি (৫০)।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা: শফিক আমিন কাজিল জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে নাঈমকে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে সেদিনই পরীক্ষার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এরপর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় হাসপাতাল চত্বরে জানাজা শেষে তার লাশ দাফনের জন্য কাহালু উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র আবদুর রহিম বলেন, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গ নিয়ে কাহালুর যুবককে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ভর্তি করা হয়। কোভিড পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার আগেই গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের উপনির্বাহী পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হওয়া রোগী ইলিয়াস মিঞা গত বুধবার রাতে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল) ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তিনি মারা যান। এছাড়া জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তিকে বুধবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান।
Leave a Reply